#অতিরিক্ত_গরমে_পাখিদের_জন্য_করণীয়
পাখিদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়ে থাকে অর্থাৎ ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস । শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে পাখির শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। আমরা জানি যে পাখিদের ঘাম গ্রন্থির অভাব রয়েছে। তাদের শারীরিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হয় দ্রুত ও খোলা মুখের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এবং গোসল কিংবা পানীয়ের মাধ্যমে।
প্রচন্ড এই গরমে কিছু সতর্কতা আপনাকে আপনার প্রিয় পাখিটি হারানোর শোক থেকে বাঁচাতে পারে। পাখির জন্য পর্যাপ্ত আলো বাতাসের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিন্তু গ্রীষ্মের কড়া রোদ থেকে পাখি কে বাঁচাতে হবে।গ্রীষ্মের সকালের রোদ এবং সন্ধ্যার রোদ ছাড়া সরাসরি সূর্য থেকে পাখির সুরক্ষা প্রয়োজন।
#পাখির_বাসস্থানঃ
পাখির বাসস্থান অবশ্যই ছায়া বিশিষ্ট স্থানে হতে হবে। খাঁচা গুলো এমন এমন অবস্থানে থাকবে যেখানে আলো-বাতাস পর্যাপ্ত পরিমাণে পাবে।অবশ্যই যেন শেষ করার মত সরাসরি না পরে। পাখির ঘরে একটি এক্সস্ট ফ্যান বা মুভিং সিলিং ফ্যান লাগাতে হবে।
গ্রীষ্মে নানাবিধ পোকা আক্রমণ করতে পারে আপনার পাখির ঘরে। এই থেকে বাঁচতে অবশ্যই পাখির ঘটে প্রতিদিন পরিষ্কার করুন।
যদি পাখির জোড়া দেয়া বা ব্রিডিং এ থাকে তাহলে পাখির বিডিং এর হাড়ি কিংবা বক্স প্রতিদিন চেক করুন এবং হাঁড়ির নিচে পানি স্প্রে করুন। এতে করে হাড়ি বেশি উত্তপ্ত হবে না এবং ডিম নষ্ট হওয়া কিংবা বাচ্চা মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। কেননা অধিক উত্তাপে কিংবা গরমে পাখির বাচ্চা মারা যেতে পারে এবং ডিম নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সবচাইতে উত্তম যদি গরমে পাখিকে ব্রিডিং এ ই না দেওয়া হয়।
#গোসলঃ গ্রীষ্মে পাখিকে প্রতিদিন আলাদা বাটিতে গোসলের পানি দেওয়া উচিত। গোসল করুক বা না করুক গোসলের পানির বাটি টি অবশ্যই আধা ঘন্টা পর
খাঁচা থেকে নামিয়ে নিবেন।
যদি পাখি গোসল না করে, গোসল করার অভ্যাস না থাকে তাহলে গোসলের পানির বাটিতে যেকোনো একটি সবজি যা আপনার পাখি পছন্দ করে খায় সেটি দিয়ে দিবেন। সবজি খাওয়ার জন্য পাখি পানিতে নামলে গোসল করবে।
তবে সবচাইতে উত্তম পাখিকে গোসলের পানি না দিয়ে পাখির গায়ে হালকা করে পানি স্প্রে করে দেওয়া। এতে পাখি অতিরিক্ত ভিজবে না এবং ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকবে না।
হাড়িতে ডিম কিংবা বাচ্চা নিয়ে থাকা জোড়াকে গোসলের পানি না দেওয়াই ভাল।এর পরিবর্তে হালকা করে পানি স্প্রে করে দিবেন।
#খাবারঃ গ্রীষ্মে পাখির স্বাভাবিক খাবারে তৈলবীজ কমিয়ে দিন। প্রতিদিন পাখিকে একটি সবুজ শাক বা সবজি কিংবা ফল দিন।
পাখিকে সপ্তাহে দুদিন লেবু পানি দিন।
সপ্তাহে দুদিন ডাবের পানি দিন।
দুদিন অ্যালোভেরা মিশ্রিত পানি দিন।
একদিন পাখির স্যালাইন মিশ্রিত পানি দিন।
পাখির খাবারে ভিটামিন-সি বাড়িয়ে দিন এবং পুদিনাপাতা যোগ করুন।
অতিরিক্ত গরমে পাখিকে এগ ফুড বা ডিম মিশ্রিত খাবার দিবেন না। এসময় সপ্তাহে একদিন বা দুদিন এগ ফুড দিন। কিংবা এগফুড এর পরিবর্তে ঘরে তৈরি নরম খাবার সরবরাহ করুন।
এসব খাবার বা পানীয় পাখির খাঁচায় দু'ঘণ্টার বেশি রাখবেন না। কেননা গ্রীষ্মে এসব খাবার খুব দ্রুতই পচন ধরে যায়, নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার পাখি খেলে পাখি অসুস্থ হবে।
পাখির স্বাভাবিক সিডমিক্স বাজার থেকে কিনে এনে পরিষ্কার করে,ধুয়ে, রোদে শুকিয়ে পাখিকে খেতে দিন।
পাখিকে পরিষ্কার পানি খেতে দিন।
আজ এ পর্যন্তই
ভালো থাকুক সবার পাখি