আসুন সম্ভাব্য কারন ও প্রতিকার গুলো জানা যাকঃ
ডিম না জমার কারনঃ
১।সব পাখি ই মেটিং ছাড়া ডিম পারতে পারে। একে অনুরবর ডিম বলে।এসব ডিম পাখি যতই তা দিক না কেন ফুটবে না। ( আমরা ফার্মের মুরগীর যে ডিম খাই সেগুলো অনুরবর ডিম।
প্রতিকারঃ নিশ্চিত হতে পারলে ডিম গুলো ফেলে দিন।
২। মেটিং এর সময়ে মাঝে মাঝে শুক্রাণু ঠিকভাবে ভেতরে যেতে পারে না। এজন্য ডিম জমে না।
প্রতিকারঃ বসার লাঠি শক্ত করে বেঁধে দিন যাতে মেটিং এর সময়ে নড়াচড়া না করে। লাঠি যাতে অতিরিক্ত মোটা বা চিকন না হয়। মেল ও ফিমেলের ভেনটের কিছু পালক তুলে ফেলুন। পালক তোলার সময় ফুঁ দেবেন। এবং কাজটা তাড়াতাড়ি করবেন যাতে পাখি কষ্ট ও ভয় না পায়।
৩। ভিটামিন ই এর অভাবে ডিম জমে না।
প্রতিকারঃ ব্রিডে দেয়ার আগে পাখিকে ই সেলেনিয়াম প্লাস এর ৫ দিনের কোর্স করাতে হবে।
(এছাড়াও খাঁচায় যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালসিয়াম যেমন কাটলফিস বোন , পানির সাথে ক্যালসিয়াম ফরটি , পালন/কলমি শাক , এগফুড , বরবটি,গাজর , ধনেপাতা ইত্যাদি দেবেন )
ডিমের ভেতর বাচ্চা মারা যাওয়ার কারনঃ
১। ডিমের খোলস অতিরিক্ত শক্ত হলে বাচ্চা ডিম ফুটে বের হতে পারে না ।
প্রতিকারঃ গরম কালে সপ্তাহে ৩/৪ দিন ও শীতকালে সপ্তাহে ১ দিন (দুপুরের দিকে যখন কিছুটা গরম থাকে) হাড়ির ভেতর অল্প পরিমানে পানি স্প্রে করে দিন। এতে ডিমের খোলস নরম হবে ও আদ্রতা বজায় থাকবে।
২।অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা গরমে ডিমের ভেতর বাচ্চা মারা যায়।
প্রতিকারঃতাই , অতি গরমে ব্রিড না করাই ভালো। আর যদি করতেই হয় তবে ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে। হাড়িতে যাতে সূর্যের তাপ কোনভাবেই না লাগতে পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে । শীতকালে , অতিরিক্ত ঠাণ্ডা মোকাবেলায় রুম হিটার/লাইট এর ব্যবস্থা করতে হবে। সরাসরি ঠাণ্ডা বাতাস আটকাতে হবে।
৩। ভিটামিন বি এর অভাবে বাচ্চা ডিম এর ভেতর মারা যায়।
প্রতিকারঃ ব্রিডে দেয়ার আগে ৩-৪ দিন পানির সাথে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স খাওয়াতে হবে।
৪। প্যারেন্টস ঠিকমত ডিমে তা না দিলে বাচ্চা ডিমের ভেতরে মারা যেতে পারে।
প্রতিকারঃ প্যারেন্টস ইঁদুর, টিকটিকি , মানুষের চলাচল বা অন্য কোন কারণে ভয় পাচ্ছে নাকি দেখুন। ডিম/বাচ্চা ঘন ঘন চেক করবেন না। ওদের প্রাইভেসি নিশ্চিত করুন।